নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামে পর পর দুই বছর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুস। করোনা মহামারী থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় হিজরি বর্ষ অনুযায়ী এবার জুলুসের ৫০তম আয়োজন হচ্ছে চট্টগ্রামে। জশনে জুলুসে নবীপ্রেমী লাখো মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালত ইয়া রাসুলাল্লাহ, হামদ, নাতে রসুল, ও দরুদ।
রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়। আর ৫০তম জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গাউসে জামান হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। আর জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে নবীপ্রেমী মানুষেরা জড়ো হতে থাকেন ষোলশহরের জামেয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকায়।
জুলুস শুরুর পর করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। জুলুসের রোডম্যাপের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করেন স্বেচ্ছাসেবক ও হুজুর কেবলার ভক্তরা। জুলুসকে ঘিরে মুরাদপুর, বিবিরহাট, মাদ্রাসা এলাকায় শত শত টুপি, মাস্ক, আতর, সুরমা, তসবিহ, পাঞ্জাবি, ইসলামি বই, খাবার দোকান বসেছে।
গাউসে জামান হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)’র নেতৃত্বে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
গাউসে জামান হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)’র নেতৃত্বে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)।
এদিকে, জুলুস শেষে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মাহফিল। এরপর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখন জোহরের নামাজের জামাত চলছ। জোহরের নামাজ শেষে করা হবে দোয়া ও আখেরি মোনাজাত। জুলুসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও দায়িত্বে রয়েছেন আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) তিন হাজার, গাউসিয়া কমিটির নেতা-কর্মী ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী।