নিজস্ব প্রতিবেদক।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটাতে চায় দলটি। এ সমাবেশকে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমাবেশ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি নেতারা। ইতোমধ্যে সমাবেশ সফল করতে পাঁচটি উপ-কমিটি গঠন করেছে দলটি। আজ ১২ অক্টোবর বিকালে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে এ সমাবেশটি হবে।
এদিকে সমাবেশে যাতে বিএনপি কোনোরূপ দেশবিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হতে না পারে সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। গতকাল বিকালে প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে উত্তর, দক্ষিণ ও নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করবে না। কোনোরূপ কর্মসূচি ছাড়াই বিএনপির সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করবে আওয়ামী লীগ। তবে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্ত হলে তাৎক্ষণিক মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমেদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ শেখ আতাউর রহমান আতা, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, উত্তর জেলার উপ-দপ্তর সম্পাদক আ.স.ম. ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে আজ সবকিছুর দামে চরম ঊর্ধ্বগতি, মানুষ ঠিকমতো একবেলা খেতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের সমস্যা সমাধানে তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের মাথাব্যথা হয়েছে আবারও কীভাবে ক্ষমতায় যাবে। এই সরকার আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করছে। জনগণের দাবিতে বিএনপি যখন মাঠে নেমেছে, তখন তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য এ সরকার প্রশাসন ও আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করছে। অথচ বর্তমান গণআন্দোলন চলছে মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে। চলমান আন্দোলনে গত জুলাই থেকে আমাদের দলের ৫ জন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। তারপরও জনগণের এই আন্দোলন বন্ধ তো হচ্ছে না, বরং দিনে দিনে আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিএনপির আগামীকালের সমাবেশে অতিথি হিসেবে কারা থাকবেন তা এখনো ষ্পষ্ট না হলেও প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিভাগের ১১টি জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষ সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা থেকেই বেশি মানুষ জড়ো করতে চাইছে বিএনপি।