দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইনিব্যবস্থা গ্রহণের পর আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর ধারা ২৮ (৩) ও ২৯ (২) সংশোধন করে ভুয়া চিকিৎসকদের সাজা বাড়াতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনগত বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএমডিসির সভাপতি, স্বাস্থ্য মহাপরিদর্শক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে ভুয়া চিকিৎসক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮(৩) ও ২৯(২) ধারায় ভুয়া চিকিৎকদের সাজা ৩ বছরের বিধান রয়েছে। এই সাজার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয় রিটে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ‘সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী— মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয়, দেশের সাধারণ মানুষ এই সব ভুয়া ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তাই রিটটি দায়ের করা হয়।