সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ৫:৪০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে বেড়েই চলেছে সবজি এবং মাছের দাম

মৌসুমী সবজির সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও বাজারে যেন দাম কমার কোনো লক্ষ্যণই নেই। দু-একটি ছাড়া বাকী সব সবজির দাম ৫০ টাকার উপরে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের দামই রাখা হচ্ছে মাছ-মাংসের। ডজনে ৭ টাকা বেড়েছে ডিমের দামও। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়ে নতুনভাবে দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে খুচরায় সেই দাম কমিয়ে বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজার ও চকবাজারের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি ৬০, পটল ও কচুরলতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। টমেটো ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লাউ ২৫ টাকা কেজি ও নতুন আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বেগুন ও শিম ৪০ টাকায়, মূলা ১৫ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে।
সবজি কিনতে আসা ক্রেতা ইয়াছিন আরাফাত পূর্বদেশকে বলেন, বাজারে প্রচুর সবজি থাকলেও দাম কিন্তু বেশিই মনে হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা অতি মুনাফার উদ্দেশ্যে কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে আমাদের মত সাধারণের পণ্য ক্রয় করতে খুব হিমশিম খেতে হয়। কারণ পণ্যের দাম বাড়লেও আমাদের আয় বাড়ে না।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, মাঝারি মানের রুই ও মৃগেল ৩০০ টাকা, বড় রুই ৪০০ টাকা, পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে। বাজারে প্রতি ডজন মুরগির ডিম ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকায়।
অন্যদিকে সপ্তাহখানেক আগে ভোজ্যতেলের দাম কমিয়ে নতুনভাবে নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের লিটারে ৫ টাকা ও পাম তেলের লিটারে ৪ টাকা কমার কথা থাকলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তেলের নতুন দর নির্ধারণ করে খুচরা পর্যায়ে লিটার প্রতি সয়াবিন তেল ৫ টাকা কমিয়ে ১৮৭ টাকা ও পাম তেল লিটার প্রতি ৪ টাকা কমিয়ে ১১৭ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। তবে বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯২ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯০৬ টাকায় বিক্রি হবার কথা থাকলেও ৯২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের সোবহান স্টোরের ব্যবস্থাপক মো. সেলিম পূর্বদেশকে বলেন, আমরা যেসব ডিলারের কাছ থেকে তেল নিই তারা নতুন দরের তেল সরবরাহ না করায় আমরা নতুন দরে তেল বিক্রি করতে পারছি না। পাশাপাশি আগের তেলগুলোও আমাদের স্টকে রয়ে গেছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত নতুন দামের তেল বাজারে আসবে। তখন আমরাও বিক্রি করতে পারবো।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত ভোজ্যতেলের নতুন দর গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। তাই আমরা অন্যান্য অভিযান পরিচালনাকালে নগরীর কিছু খুচরা দোকানগুলোতে আগের ভোজ্যতেল কেনার রশিদ দেখেছি। পুরনো দরের কিছু তেল বিভিন্ন দোকানে আছে। শীঘ্রই নতুন দরের তেল বাজারে আসবে। তখন কেউ কারসাজি করলে আমরা ছাড় দিবো না। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক