সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

 

বিগত ২২/১২/২০২২ ইং তারিখে সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রাম পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “চান্দগাঁওয়ে ইটের গাঁথুনি দিলেই দিতে হয় চাঁদা, ইশারায় চলে থানা পুলিশও” এবং চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “চান্দগাঁও পুলিশের ‘বন্ধু’ হাসান বেপরোয়া, চাঁদা চেয়ে প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনে হামলা-ভাঙচুর” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমার মক্কেলগণ। এই বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের মাধ্যমে আমার মক্কেলদের ব্যক্তিগত সামাজিক ও পেশাগত জীবনে চরম মর্যাদাহানি হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং নিয়মিত মোটা অংকের রাজস্ব প্রদান করেন।

গত ১৮/১২/২০২২ ইং তারিখে মোটর সাইকেল সার্ভিসিংয়ের দোকান সংস্কারকে কেন্দ্র করে ওসমান গণি মানিক ও তার বড় ভাই কামাল উদ্দীনের উপর হামলার ঘটনা ঘটে । হামলায় কামালের মাথায় কিরিচের কোপে গুরুতর কাটা জখম করে এবং ওসমান গণি মানিককে কিল ঘুষি মেরে সাথে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। কামাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উক্ত ঘটনায় ওসমান গণি মানিক বাদী হয়ে ২০/১২/২০২২ ইং তারিখে সুলতান আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিতু, নূরুল বশরের ছেলে মো: রাসেল ও মো: টিপু, ইউসুফের ছেলে মো: সাজ্জাদ এবং ইদ্রিস আলমের ছেলে তৌহিদুল আলম রাজুসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামী করে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

থানায় উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ২১/১২/২০২২ ইং তারিখে নূরুল বশরের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে ইয়াছিন হাজীর বাড়িতে নিজ মালিকানার ১০ শতক জায়গায় দোতলা ভবন নির্মাণ করেন প্রবাসী আবুল হোসেন। এসব কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় রেহানা বেগমের স্বামী নুরুল বশরকে, যা একেবারে ভিত্তিহীন । কেননা এই নূরুল বশর এবং তার ছেলে নূরুল কবির রাজুসহ ৩ জনকে আসামী করে গত ০৬/১১/২০২২ ইং তারিখে প্রবাসী মো: আবুল হোসেন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (মহানগর) এর আদালতে ১৪৫ ধারার বিধানুনাযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তে নুরুল বশরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, নূরুল বশরের সাথে আবুল হোসেনের দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছে। যার সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ তাকে বহুতল ভবন নির্মাণের কেয়ারটেকারের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান শুধু মিথ্যা নয় হাস্যকরও বটে। এটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

  1. সংবাদে আরো বলা হয়েছে “পূর্ব ষোলশহর ইয়াছিন হাজীর বাড়ি এলাকার হাসানের বিশাল গ্যাং রয়েছে।
    কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলেই হাজির হয় তারসংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। না দিলে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে কাজ বন্ধের হুমকি, এরপর মারধর। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে প্রায় সময়ই বিশাল বাহিনী নিয়ে দেওয়া হয় অস্ত্রের মহড়া। থানা-পুলিশও নাকি চলে তাদের ইশারায়!” হাসান যদি আসলেই এরকম সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ গ্রুপের গ্যাং লিডার হতেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে থানা কিংবা আদালতে অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই,চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা-মোকদ্দমা থাকার কথা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোথাও একটি জিডি পর্যন্ত নেই। রেহেনা বেগম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে এই প্রথম মামলা দায়ের করেছেন। যাহা তদন্তের জন্য আদালত সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এছাড়া সংবাদে পুলিশ হাসানের বন্ধু এবং পুলিশও তাদের কথায় চলে এমন তথ্য দিয়ে পুলিশকে হেয় করা হয়েছে। কারো কথায় চললে পুলিশ কখনো অপরাধ নির্মূলে কাজ করতে পারতো না।

আমার মক্কেলদের বক্তব্য হলো, ১৮ ডিসেম্বর মোটর সাইকেল সার্ভিসিংয়ের দোকান সংস্কারকে কেন্দ্র করে ওসমান গণি মানিক ও তার বড় ভাই কামাল উদ্দীনের উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় রুজুকৃত মামলাকে বাঁধাগ্রস্থ কিংবা আপোষ বা রেহেনা বেগমের ২ ছেলে মো: রাসেল এবং মো: টিপুকে বাঁচাতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। আবুল হোসেন প্রবাসে থাকার সুবাদে তাঁর নির্মানাধীন বাড়ীকে মামলা ও প্রকাশিত সংবাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সমাজের বিভিন্ন দূর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সংবাদ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ একদিকে যেমন পরিচ্ছন্ন ও ভালো মানুষের সম্মান নষ্ট করে তেমনি অন্যদিকে কতিপয় অপরাধীকে তাদের অপরাধ বিস্তারে উৎসাহিত করে। তাই ভবিষ্যতে এই ধরণের সংবাদ প্রকাশে আরো আন্তরিক ও অনুসন্ধানী হওয়ার জন্য জাতীর বিবেক খ্যাত সাংবাদিক সমাজের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আমার মক্কেলগণ। একই সাথে এই ভিত্তিহীন সংবাদ প্রত্যাহার করে প্রতিবাদটি গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করার জন্যও সম্পাদক -প্রকাশকের প্রতি অনুরোধ জানান।

ধন্যবাদান্তে-
মো: শাকেরুল ইসলাম (সাকিব)
এডভোকেট
চেম্বার: ৪১২ নং রুম(৪র্থ তলা)
আইনজীবী ভবন, কোর্ট হিল, চট্টগ্রাম।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক