ইমরুল কায়েস, ঢাকা প্রতিনিধি।
২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় আরও ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় আরও ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করা যায় কি না সেটির চিন্তভাবনা করা হচ্ছে। বিএনপি গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে। আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামে আরও দুটি সার্ভিস লেন হবে। চলমান সংকটকালে আমরা বড় প্রকল্পের কাজ হাতে নিতে পারবো না। মেট্রোরেলের প্রকল্প ছিল অনেক আগের নেওয়া। আগামী বছর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্ধেকটা ওপেন করতে পারবো। বাংলাদেশের মেট্রোরেল থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলকাতার মেট্রোরেলের চেয়েও অনেক আধুনিক। মেট্রোরেল চলাচলের সময় কোনো ধরনের শব্দদূষণ হবে না। এ সরকারের আমলেই মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চালু করা হবে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করা যায় কি না- সেটির চিন্তভাবনা করা হচ্ছে।ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে দেখা হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছরের মধ্যে চালু করা হবে।’
মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি একটি কথাই বলবো- মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। এখন রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা। ঢাকা ও কলকাতার মেট্রোরেল এক না। আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। এ সরকারের মেয়াদেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ পিছিয়ে রয়েছে। আমরাও কোনো হস্তক্ষেপ করি নাই। তবে কেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতারা কাজ করেননি- এমন প্রমাণ পেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হলেও আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই, না হলেও সমস্যা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএম সব নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকবে কিনা- সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে আওয়ামী লীগের দাবি, সব কেন্দ্রে ইভিএমে নির্বাচন হোক।