হিম হিম শীত আর দৃষ্টিসীমা আড়াল করা কুয়াশার কাল শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে এসে দেশে জেঁকে বসেছে শীত। অন্তত চার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার তাপমাত্রাও শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি।
এদিকে তাপমাত্রা কমায় ও কুয়াশা বেশি থাকায় রাজধানীর বায়ুর মান আরও অস্বাস্থ্যকর হয়েছে। সন্ধ্যার পর দেশের নদী-তীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশা এত ঘন হয়ে থাকছে যে দৃষ্টিসীমার ৫০০ মিটার দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীত ও কুয়াশার এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষে শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে। কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। শৈত্যপ্রবাহ শক্তিশালী হয়ে আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কুয়াশা আরও ঘন হয়ে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে জীবনযাত্রায়।
জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় এখন শীতল আবহাওয়া এবং কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে আরও দুই-তিন দিন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে শীত আরও বাড়তে পারে।
এদিকে শুক্রবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া নওগাঁ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল; অর্থাৎ এই চার জেলায়ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ছিল। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে সব জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
রাজধানীতে সকাল থেকে ঘন কুয়াশা থাকায় রোদের দেখা খুব একটা পাওয়া যায়নি। সূর্যের দেখা মেলেনি অনেক বেলা পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়ায় রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় কাগজ ও প্লাস্টিক জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। সড়কগুলোতেও মানুষের চলাচল ছিল কম।শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসাবে রাত সাড়ে সাতটায় বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। এই সময় বায়ুর মান ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।