নভেম্বর ১৪, ২০২৪ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

মিরসরাইয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

মোহাম্মদ শরীফ হোসেন, মিরসরাই প্রতিনিধি

মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের বিজয় মেলা শেষে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রাতভর মেলায় শেষ দিনের আনন্দ শেষে গতকাল ভোরে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আহতদের দাবি, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানারাত আহমেদ জানান, মেলা শেষে মেলার মালামাল গুছাতে সাহায্য করে বাড়ি ফেরার সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। মেলার গেটের বাইরে পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ–মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাহেদ বিন কামাল, সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত, যুবলীগ নেতা ইমতিয়াজ ও আব্দুর রহমান। আহত হন যুবলীগ কর্মী রিয়াজ উদ্দিন, রাহুল বড়ুয়া, রাহুল আহমেদ, সাকিব, আমজাদসহ প্রায় ২০ জন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। হামলাকারীরা পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ কেটে দেয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিকের। তাকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় ইট–পাথর ও লাঠি–ছুরির আঘাতে সাধারণ অনেক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর রাতে।

এ বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের কো–চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, রোববার ভোর রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক