ইমরুল কায়েস, ঢাকা প্রতিনিধি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন অন্য সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। একসময়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূত এ দেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতেন, এখন এ পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্ব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে নিজের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি আগুন–সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতা–কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির ধরনা দেওয়া বা হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় দুই দেশের কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজিসহ নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনি দুদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারকের আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে।