জসিম উদ্দিন রাজু, বোয়ালখালী প্রতিনিধি।
অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় শিম চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বোয়ালখালী উপজেলায়। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর শিম চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ। এবার বারি ৪, বারি ২ সহ দেশি উন্নত জাতের শিম চাষ চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আতিক উল্লাহ। তিনি জানান, শিম শীতকালীন সবজি হিসেবে জনপ্রিয়। কম খরচে ও স্বল্প পরিশ্রমে শিমের চাষ করা যায়। শিমের ভাজি, ভর্তা ও তরকারিতে খাওয়া হয়। কাঁচা শুকনো শিমের বিচির ডাল অত্যন্ত সুস্বাদু। শিমের বিচি সংরক্ষণ করে সারাবছর রাখা যায়। শিম এবং বিচিতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামীণ সড়কের ধারে, বাড়ি আঙিনায় শিমের চাষ হয়েছে। এ বছর ভালো ফলনও পাচ্ছেন চাষীরা। বাজারে দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন শিম বিক্রি করে। উপজেলার পশ্চিম গোমদÐীর চরখিজিরপুর, চরখিদিরপুর, পশ্চিম শাকপুরা, টেক্সঘর, সারোয়াতলী, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ, জৈষ্ঠ্যপুরা, পোপাদিয়া, আমুচিয়া ও কড়লডেঙ্গায় ব্যাপকভাবে শিমের চাষ হয়েছে। অনেকে বাজারে বিক্রির জন্য শিম চাষ করেছেন। সকাল বেলা শিম সংগ্রহ করে বিকেলেই তা বিক্রি করছেন বাজারে। তরতাজা শিম বাজারে এখন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আবদুল গফুর বলেন, শাকপুরা-ননাইয়ার মার ঘাট সড়কের প্রায় ৪শত মিটার এলাকা জুড়ে তিনি শিম লাগিয়েছেন। বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন। এবার ভালো ফলন আসায় লাভবান তিনি। পরিবারের চাহিদা মেটাতে পথের ধারে শিমের চাষ করেছেন চট্টগ্রামের জেলার বোয়ালখালী উপজেলার চরখিজিরপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা বেগম। খুব বেশি নয়, ২৫টি মাচায় রোপণ করেছিলেন শিমের বীজ। এরপর শিমের লতা জড়ানোর জন্য বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বাউনি দেন। এখন এসব লতায় ফুল আর শিমের ফলন আসতে শুরু করেছে।
রহিমা বেগম বলেন, পরিবারের জন্য এসব শিম লাগিয়েছেন। পরিপুষ্ট হলেই কচি শিম সংগ্রহ করে রান্না করেন। শীতের প্রায় দিনই তরকারিতে শিম খাওয়া হয়। কিছু শিম রেখে দেওয়া হয় গাছে। গাছ শুকিয়ে গেলে তখন শুকনো শিমের বিচি সংরক্ষণ করে রাখা হবে।