আগামী ১১ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এজন্য গঠন করা হয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ফলাফল প্রকাশের জন্য অন্যান্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার পরবর্তী ৬০ দিন পূর্ণ হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হওয়ায় এ ফলাফল আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রথমে ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এ প্রস্তাব পাঠালেও মন্ত্রণালয় থেকে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ১১-১২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সম্মতি দিবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। গত বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে। পরবর্তী সাত দিন ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
পরীক্ষা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পরবর্তী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ফল প্রকাশে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবে আগামী ১১ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী। সারাদেশে দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫৩০।
অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় দুই হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্র মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ ছাত্রী। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ ছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।