সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও ইসিবি সূত্র জানায়, বান্দরবান–কেরানিহাট সড়কটি ২০১৯ সালে মহাসড়কে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদের পূর্বে গত মাসের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে কাজ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়ন।
দৃষ্টিনন্দন মহাসড়কটিতে ২১টি ব্রিজ, ১৫টি কালভার্ট, সড়ক প্রশস্তকরণসহ কাজের সার্বিক গুণগত মানে খুশি বান্দরবানবাসী। সড়কের সৌন্দর্যবর্ধণে লাগানো রাতের বেলায় জ্বলজ্বল করা রিফ্লেক্ট লাইট এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো চব্বিশ ফুটের জায়গায় ৬০–৭০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি করা ডাবল ব্রিজগুলো সড়কের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম, চাথোয়াই অং মারমা বলেন, পাহাড়ের আঁকাবাঁকা দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কটি পর্যটন শহর বান্দরবান জেলার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক কমানো এবং সড়ক প্রশস্তকরণ করায় দৃষ্টিনন্দন সড়কটি নজর কাড়ছে ভ্রমণকারীদেরও। আগের আঁকাবাঁকা, ঢালু এবং সরু সড়কটিতে প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা।
সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কোরের প্রকল্পের কর্মকর্তা মেজর মো. শাহ সাদমান রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বান্দরবান–কেরানিহাট মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। আগে সড়কটির বিভিন্ন জায়গা নিচু থাকায় বর্ষামৌসুমে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যেত। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরম দুর্ভোগে পড়ত ভ্রমণকারী পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে নিচু সড়ক উঁচুকরণ, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো কমানো সহ বান্দররবান সড়কটি মহাসড়কে উন্নীত হওয়ায় লাঘব হবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি, উন্নত হবে স্থানীয়দের জীবনমান, হ্রাস পাবে সড়ক দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, জেলার একমাত্র সড়কটি জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন।
সেনাবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সড়ক বিভাগের প্রকল্পটিতে দুর্ঘটনা রোধে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক কমানো এবং সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সড়কটি পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাসস্ট্যান্ড, রেইছা, সূয়ালক এবং বরদুয়ারা এলাকায় সড়কটি ৭০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়েছে। যা সড়কটিতে দুর্ঘটনা কমাবে।