ইমরান নাজির।
চটগ্রামের বাকলিয়া বউবাজারের সুবর্ণ আবাসিক এলাকায় ‘নিরাপদ প্রসব ‘নামের একটি ভুয়া ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় ক্লিনিকের মালিক শাহাদাত হোসেনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী এবং বাকলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, নিরাপদ প্রসব সেন্টার ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে ধাত্রী ফাহিমা শাহাদাতকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ডাক্তার না থাকায় নিজে অপারেশন ও নরমাল ডেলিভারি করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ভুয়া ক্লিনিকের সকল সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে এবং সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি নিরাপদ প্রসব সেন্টার ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি করানোর পর জান্নাতুল ফেরদৌস নিহা (২২) নামের একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশের পর আজ সেখানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছি। চট্টগ্রামের কোন জায়গায় এ রকম অবৈধ হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না। যেখানেই তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালান হবে।’