চট্টগ্রাম মহানগরের সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গৃহীত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রকল্পের পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে তার দপ্তরে ঢুকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। গত রোববার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার তাদের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদে নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান শাহ আমানত ট্রেডার্স এর সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, শাহ আমানত ট্রেডার্স এর সুভাষ মজুমদার, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ এর মো. ফিরোজ এবং মাহমুদুল হক। এর মধ্যে মাহমুদুল হক ছাড়া বাকিরা মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি। মাহমুদুল হককে তদন্তে ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সন্তোষ কুমার। ধৃত সঞ্জয় ভৌমিক কংকন নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বলয়ে ছিলেন। পরে ২০১৫ সালে আ জ ম নাছির উদ্দীন চসিকের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কংকন এই বলয়ে যোগ দেন। এছাড়া সুভাষ দে আওয়ামী ঘরানার এবং বাকি দু’জন বিএনপি ঘরানার ঠিকাদার হিসেবে চসিকে পরিচিত।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার দিকে চসিকের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের চতুর্থ তলার ৪১০ নম্বর কক্ষে মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধর এবং তার টেবিল ও নামফলক ভাঙচুর করে ঠিকাদাররা। এ ঘটনায় ওই রাতেই চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১০ জন ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরা হচ্ছেন – এস জে ট্রেডার্স এর সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্স এর সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজ এর মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্স এর সুভাষ, মেসার্স খান কর্পোরেশন এর হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম এন্ড ব্রাদার্স এর নাজিম, মসার্স রাকিব এন্টার প্রাইজ এর ফিরোজ, ইফতেখার এন্ড ব্রাদার্স এর ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ এর আশীষ বাবু ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ফরহাদ