স্ত্রীর মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করলেন স্বামী মো. মিজান (৩২)। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি জেরে স্ত্রী চলে যায় পাশের বাড়িতে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্ত্রী ঘরে ফিরে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে স্বামী মিজান।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বারআউলিয়া কাজলী পাড়ার জসিমের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
জানা গেছে, বরগুনা জেলার তালতলী থানার গাবতলী গ্রামের মো. হোসেন মিদ্দার ছেলে মো. মিজান সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে একটি লোহার ডিপোতে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাধে ওই এলাকার জসিমের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ময়না বেগমকে (২৫) নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মিজান কাজ থেকে ফিরে তার স্ত্রীর মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ আছে দেখতে পেয়ে কি করে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েছে তা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তাকে সন্দেহ করায় এক পর্যায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাবার হুমকি দিয়ে পাশের অন্য একটি ঘরে উঠেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় স্ত্রী আবার ঘর ফিরে আসলে তিনি দেখেন তার স্বামী ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে তার স্ত্রী বাদী হয়ে রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ চট্টলার কণ্ঠকে বলেন, স্ত্রীর মোবাইলে এমবি রিচার্জ করা দেখে সন্দেহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এক পর্যায়ে স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এতে অভিমান করে স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে স্ত্রী দাবি করেছেন। তবুও লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনা পরিষ্কার হবে।