ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ভোগ্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা, অসহায় ক্রেতা

চট্টলার কণ্ঠ নিউজ ডেস্ক।

বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের বাজার। অনেকদিন ধরেই তেল, চাল ও চিনির বাজার চড়া। তবে এবার দাম বাড়ছে পেঁয়াজ–রসুন ও আদার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি কম হওয়ায় ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় সব পণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এদিকে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণি আরেক দফা চাপের মুখে পড়ল।

গতকাল শুক্রবার নগরীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। ৩ লিটার ৫৫৫ টাকা এবং ৫ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। অপরদিকে বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় ছোলা ৯৫ টাকা এবং অস্ট্রেলিয়ান ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে মসুর ডাল চিকন দানা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং মোটা দানা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০–৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে জিরাশাইল চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ৬৫ টাকা, মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ৮৫ টাকা এবং পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি এলাকার ভান্ডার স্টোরের খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। পাইকারী দোকানদাররা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজার সব ধরনের পণ্যের বুকিং দর বেড়ে গেছে। এছাড়া এবার পণ্য আমদানি কম হয়েছে এমন অজুহাতে পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বেসরকারি চাকরিজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, করোনার কারণে আমাদের বেতন কিন্তু এক টাকাও বাড়েনি। উপায়ন্তর না দেখে পরিবার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন আবার বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এভাবে চলতে থাকলে, কি হবে বুঝতে পারছি না।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাত দাঁড় করিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটায় ব্যস্ত রয়েছে। কখনো তারা পেঁয়াজ নিয়ে খেলে, কখনো তেল–চিনি নিয়ে। এখন খেলছে আবার চালের বাজার নিয়ে। কোনো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১ ডলার বাড়লেও সাথে সাথে তারা দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ যেসব পণ্যের দাম তারা বাড়িয়ে দেন, সেগুলো কিন্তু আগে আমদানি করা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বুকিং রেট কমে গেলে তখন কিন্তু তারা পাইকারী বাজারে দাম কমিয়ে দেয় না। এতে বুঝা যায়, ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জিতেই চলে। পাইকারী ও খুচরা বাজারে চিত্র অনেকটা একই। রমজানের বাকি আর এক সপ্তাহও নাই। তাই প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক