ইমরান নাজির।
চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে চট্টগ্রাম–ঢাকা রেললাইনের পাশে পুরনো টায়ারের স্তূপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই ধোঁয়ার কুণ্ডুলী আকাশের দিকে উঠতে থাকে। অনেক দূর থেকে তা দেখা যাচ্ছিল। এতে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। আগুনের কারণে বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ, আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা ও নন্দনকানন স্টেশনের ১২টি ইউনিট কাজ করে। দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সিগারেটের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়–ক্ষতি হয়েছে। ২৫ লাখ টাকার মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিতে পেরেছেন ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি। এছাড়া মহানগর ও বিজয়ের ইঞ্জিন স্টেশনে ঢুকতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ স্টেশনের এডি মো. আবদুল মালেক চট্টলার কণ্ঠকে বলেন, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে রেললাইনের পাশে টায়ার স্তূপ করে রেখেছিল। তাদের মধ্যে হারুন ও বক্কর নামের দুজন ব্যবসায়ীর টায়ারও ছিল।
আগুন লাগার স্থানটি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী ও জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস। সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। অগ্নিনির্বাপণের পর রেল চলাচল ফের শুরু হয়। তবে টায়ারের স্তূপ সংলগ্ন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। পোড়া মালামাল নিরাপদে অপসারণ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে রেললাইনের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।