ইমরান নাজির।
হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। ডিমের নমুনা দেখে নদী পাড়ের ডিম আহরণকারীরা সংগ্রহের যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। কিন্তু মা মাছ আর ডিম ছাড়েনি। গত বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে জাল ফেলে প্রতি জালে ২০–৫০টি করে নমুনা ডিম উঠেছে বলে জানায় মৎস্যজীবীরা। এদিকে হালদার পাড়ে ডিম সংগ্রহের জন্য নৌকাসহ সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন আহরণকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা কমে যাওয়ার পর মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিবেশ দেখে মৎস্যজীবীরা গত বুধবার থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে আবস্থান করছেন। হালকা বৃষ্টি আর বাতাসের মধ্যে বুধবার রাতে ও গতকাল সকালে নদীতে জাল ফেলে প্রতি জালে সামান্য নমুনা ডিম উঠেছে বলে জানায় মৎস্যজীবীরা।
রাউজানের ডিম সংগ্রহকারী আশীষ দাশ বলেছেন, বুধবার রাত ৩ টার দিকে আজিমের ঘাট, কাগতিয়া, রামদাসমুন্সির হাট, মাছুয়াঘোনা, আমতুয়া ও গড়দোয়ারা এলাকায় অনেকেই জাল ফেলেছিল। কিন্তু কেউ ২০–৫০টি নমুনা ডিমের বেশি জালে তুলতে পারেনি।
গড়দুয়ারার ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাতে নদীর অংকুরী ঘোনা, নয়াহাট, সিপাহীর ঘাট এলাকায় নমুনা দেখে লোকজন নিয়ে নদীতে নামি। ডিম আহরণের জন্য নৌকা নোঙর করি, কিন্তু ডিম ছাড়েনি। কারণ নদীর উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢলের প্রকোপ না থাকায় ডিম ছাড়েনি। বৃষ্টিপাত হলে জোয়ারের সময় হয়তো মাছ ডিম ছাড়বে।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে চলছে মেজর কার্পজাতীয় মাছের ভরা প্রজনন মৌসুম। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রজনন মৌসুমের তিনটি জোঁ অতিক্রম হলেও হালদায় দেখা মেলেনি কার্পজাতীয় মাছের কাঙ্ক্ষিত ডিমের। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতসহ পাহাড়ি ঢল নামলে লবণাক্ততা কমে যাবে এবং আজ কালকের মধ্যে ডিম ছাড়বে মা মাছ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির চেয়ারম্যান হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া চট্টলার কণ্ঠকে বলেছেন, হালদায় লবণাক্ততা কেটে গেছে, ডিম দেয়ার মতো পরিবেশ বিরাজমান আছে। আজ কালের মধ্যে বৃষ্টি হলেই মা মাছ ডিম ছেড়ে দেবে।