ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ৫:৫২ অপরাহ্ণ

বিএনপির আন্দোলন বসে যাওয়া গাড়ির স্টার্টের মত

  1. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী  এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাড়ি মাঝে মধ্যে বসে গেলে ওটাকে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোনও কিছু নয়।

    তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

    গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বা বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা সেটি বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

    গতকাল শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার আবল–তাবল বকছে এবং বেসামাল হয়ে গেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সামপ্রতিক জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্ব ব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। এবং জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে।

    তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যে ইউকে’র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, চোখ–কান, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সাথে বোধশক্তি আছে তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন এবং শ্রবণশক্তিহীন তার সাথে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেল সেটি আমার বোধগম্য নয়।

    সরকার দেশে–বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সাথে কো–স্পন্সর হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও কি কেউ বলা উচিৎ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে ? এটি বলার কোনও প্রয়োজন নেই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক