ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, আনোয়ারা–কর্ণফুলীকে বিশ্বের মডেল উপশহরে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যাচ্ছে আনোয়ারা–কর্ণফুলী। গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে আনোয়ারা–কর্ণফুলী উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু টানেল, পিএবি সড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণ, আনোয়ারা কলেজ ও আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয় সরকারিকরণ, কর্ণফুলী উপজেলা বাস্তবায়নসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার সড়ক উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। যা বিগত কোনো সরকারের আমলে হয়নি। আর এটি একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারণে সম্ভব হয়েছে। এজন্য আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই। আমার পিতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল আনোয়ারা–কর্ণফুলীর সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি জনগণের জন্য অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। পিতার অবর্তমানে আমিও নিজেকে এলকাবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছি। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কখনো এলাকার মানুষকে ছেড়ে যাইনি। প্রতি সপ্তাহে এলাকার কোনো না কোনো মসজিদে এসে জুমার নামায আদায় করে এলাকার মানুষের নানান সমস্যা ও উন্নয়নের খবরাখবর নিয়েছি। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম এবং থাকব ইনশাল্লাহ।
এসময় ভুমিমন্ত্রী আরো বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের জায়গা–জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে যেসব লোক ফায়দা লুটতে চায় তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকুন। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় করলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
গতকাল শুক্রবার হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজার ছৈয়দ বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামায আদায় পরবর্তী স্থানীয় মুসল্লিদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব রিদোয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, হাইলধর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সগীর আহমেদ আজাদ, হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, মাওলানা তৈয়ব, ইউপি সদস্য ফয়েজ খান প্রমুখ।