চট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামীকাল বুধবার (২৮ জুন) ঈদ উল আযহা পালন করবে।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও একদিন আগে ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি করবে। দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে রোজা পালন এবং ঈদ উল ফিতরও একদিন আগে পালন করে থাকেন। আগামীকাল দরবার শরীফের মাঠে ঈদ উল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাই এর বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজ পড়াবেন বলে জানা গেছে।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, সাতবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারর বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামীকাল ঈদ উল আজহা উদযাপন করবে। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, লাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জারখীল দরবারের মুরিদরাও আগামীকাল ঈদ উল আযহা পালন করবে।
মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদ ও মির্জারখীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী চট্টলার কণ্ঠকে জানান, মির্জারখীল পুরো গ্রামের মানুষ আগামীকাল ঈদ উল আযহা উদযাপন করবে। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ ইতিমধ্যে কোরবানির পশু ক্রয় থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মির্জারখীলসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অন্তÍত অর্ধ-শতাধিক গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরা একই সময়ে ঈদ উল আজহা পালন করবে। মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা দুই শত বছরের অধিক সময় ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একই দিনে রোজা, ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আজহা পালন করে আসছে।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা একই দিনে ঈদের নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি করবে। যেসব এলাকায় দরবার শরীফের মুরিদের সংখ্যা বেশি সেসব এলাকায় পৃথক ভাবে ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোনবানি দিবে। আর যেখানে মাত্র কয়েকজন মুরিদ রয়েছে তারা দরবার শরীফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করবে এবং বাড়িতে গিয়ে কোরবানি দিবে।