চট্রলার কণ্ঠ নিউজ।
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নগরীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। তবে, অনেকেই অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ায় পুরো নগরী কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। গতকাল রবিবার ভোর থেকেই রেল ও বাস স্টেশনে চট্টগ্রামে ফেরা মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আসার সময় গাড়ি ধরতে বেগ পেতে হলেও পথে যানজট বা কোনোধরনের ভোগান্তি হয়নি বলে জানালেন যাত্রীরা।
নগরে ফেরা লোকজন বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে আজ (রবিবার) থেকে অফিস-আদালত খুলেছে। তাই জীবিকার তাগিদে নগরীতে ফিরতে হয়েছে। তবে ফিরতে পথে তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি।
কক্সবাজার থেকে মারছা বাসে করে এসে বহদ্দারহাট নেমেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মোরশেদুল আলম। তিনি বলেন, ঈদে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের রামুস্থ গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ (রবিবার) ফিরে আসতে হলো। মন খারাপ নিয়ে আমাদের চট্টগ্রামে ফিরতে হয়। কারণ পরিবারের সদস্য, নিজ এলাকা, চেনা মুখগুলো ছেড়ে জীবিকার তাগিদে চলে আসতে হয়।
বহদ্দারহাটে নামা আরেক যাত্রী সাইফুল ইসলাম চট্রলার কন্ঠকে বলেন, গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া থেকে অফিস শুরু হওয়ায় বাধ্য হয়েই আসতে হলো। বাড়িতে গেলে আর চট্টগ্রামে ফিরতে ইচ্ছা করে না।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ এহছান বলেন, আজ (রবিবার) থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়াতে পরিবারসহ গ্রাম ছেড়ে চলে আসলাম। গাড়ি পেতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলেও আসতে তেমন ভোগান্তি হয়নি। রাস্তা ছিল যানজটমুক্ত।
নগরে ছোট যানবাহনগুলো ভাড়া বেশি দাবি করছে জানিয়ে আরেক কর্মজীবী মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, গ্রাম থেকে শহরে আসলাম স্বাভাবিক ভাড়া দিয়ে। কিন্তু বাসায় পৌঁছতে সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া দাবি করছে দ্বিগুণ। কারণ জানতে চাইলে চালকরা বলছেন ঈদের মৌসুম বলে কিছুটা বাড়তি ভাড়া চাইছি। আগে যে দূরত্বে একশ টাকা নেয়া হতো, সেখানে এখন আড়াইশো টাকা চাওয়া হচ্ছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন শুধু চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়া যাত্রীর চাপ ছিল। ফেরার পথে গাড়িগুলো একরকম খালি আসতো। এখন যাওয়া-আসায় বেশ ভালো যাত্রী হচ্ছে।
ইউনিক বাসের সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন খান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বাসভর্তি যাত্রী নিয়ে আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার যাওয়ার জন্য আমাদের বাসটা বেছে নিচ্ছেন। আবার কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ফিরতে পারছি।
আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা পূর্বদেশকে বলেন, আমরা চালক-হেলপারদের বলে দিয়েছি ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে। কোনো যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দিলে আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো। তবে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। বর্তমানে কোনো রুটে গাড়ির সংকট নেই। যাত্রীরা ঠিক সময়ে গাড়ি পাচ্ছেন।