অক্টোবর ৩, ২০২৪ ১০:১৭ অপরাহ্ণ

দোহাজারীর প্রথম মেয়র নির্বাচিত হলেন লোকমান হাকিম

চট্টলার  কণ্ঠ নিউজ।

চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার প্রথম নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. লোকমান হাকিম, পেয়েছেন ১৯ হাজার ১০৮ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৯ ভোট। ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী মো. জায়নুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭৯ ভোট। উপজেলা ভিডিও কনফারেন্স রুমে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

CIU-JOB-FAIR

সূত্র জানায়, সংরক্ষিত ১ নং আসনে আয়েশা আক্তার আনারস প্রতীকে ১৭৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদা বেগম মুন্নি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৯৫ ভোট। ২ নং আসনে মমতাজ বেগম চশমা প্রতীকে ২৮৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নুর বেগম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৬৬ ভোট। ৩ নং আসনে রাজিয়া সুলতানা রাজু চশমা প্রতীকে ২১০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী রাজিয়া সুলতানা জবা ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮২ ভোট।

সাধারণ ১ নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীকে ৯৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ওয়াহিদুল আলম ডালিম প্রতীকে ৭৬৬ ভোট পেয়েছেন। ২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে ৮২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছাবের আহমদ গাজর প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর আলম উটপাখি প্রতীকে ১০৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী টিপু কান্তি নাথ পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ২৭৮ ভোট।

৪ নং ওয়ার্ডে পহর উদ্দীন পাঞ্জাবি প্রতীকে ৪৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ডালিম প্রতীকে ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নাছির উদ্দীন। ৫ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইদ্রিস টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৮৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মো. মতিউর রহমান উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ মহিউদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন ডালিম প্রতীকে ৮৭২ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মো. নাছির উদ্দীন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৬২১ ভোট।

৭ নং ওয়ার্ডে গাজর প্রতীকে ১০১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহম্মদ আলমগীর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জামাল উদ্দীন ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬৯ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ডে চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাস উটপাখি প্রতীকে ৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী কৃষ্ণ কান্তি ভট্টাচার্য ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে মো. নাজিম উদ্দীন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৬৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী তৌহিদুল ইসলাম ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট।

এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলে। ১৪টি কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ও বিশঙ্খলা ঘটেনি। ভোর থেকেই শত শত নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীরা কেন্দ্রে ঢুকাকে কেন্দ্র করে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। কোনো ধরনের সংঘর্ষ ছাড়াই এ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল পর্যাপ্ত। প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করায় ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে একটু সময় নিয়েছে। ফলে অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি থাকায় বিকেল ৪টার পরও ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ৯টায় হাছনদন্ডী এম রহমান সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ওই কেন্দ্রে ১০টি বুথে ৩ হাজার ৩১০ ভোটের মধ্যে দেড় ঘণ্টায় ৩৪৬ ভোট কাস্ট হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় চাগাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৮৭ ভোটের মধ্যে ৬৩৭ ভোট কাস্ট হয়। বিকেল ৩টার দিকে রায়জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯০ ভোটের মধ্যে ৭০০ ভোট কাস্ট হয়।

দুপুর ২টার দিকে জামিজুরী আজিজিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নাতি আবু তৈয়বের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে আসা বৃদ্ধ সুফিয়া খাতুন জানান, ইভিএম মেশিনে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সুইচ টিপে ভোট দিতে পেরেছেন তিনি। পূর্ব দোহাজারী আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা গৃহবধূ ফেরদৌস আকতার জানান, কোনো ধরনের বাধা–বিপত্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন তিনি। প্রতিদ্বন্ধী অনেক প্রার্থীই জানিয়েছেন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উপচে পড়া। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলাকালে ১৪টি কেন্দ্রের কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোন ধরনের বাধা বিপত্তি ছাড়া সোহার্দপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক