নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আহলে বায়তে রাসুলের স্মরণে আগামী ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। দশদিনব্যাপী ৩৮তম মাহফিলে বিশ্ব বরেণ্য ইসলামিক স্কলার, পীর মাশায়েখ আহলে বায়তে রসুলের মান–মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করবেন। মাহফিলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান।
গতকাল সোমবার এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান আসন্ন মাহফিলের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, শান্তির ধর্ম ও মানবতার ধর্ম পবিত্র ইসলাম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ও তাঁর সাহাবা কেরাম, আউলিয়ায়ে কেরামসহ পুণ্যাত্মা মনীষীরা যুগে যুগে মানুষের জয়গান প্রচার করেছেন। তেমনিভাবে ইমাম হোসাইন (রা.) ও আহলে বায়তে রাসূল (সা)এর দর্শন ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং কল্যাণ ও ইনসাফের পতাকাকে সমুন্নত করা। তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাহফিলের সৌন্দর্য ও সাফল্যের অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি জানান, দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এবারের মাহফিল রাত দশটার মধ্যে শেষ করা হবে এবং মাইকের ব্যবহার সীমিত করা হবে।
আহলে বায়তের শানে ১ থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত আয়োজিত মাহফিল সফল করতে নবী প্রেমিকদের উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মাহফিলে বাগদাদ থেকে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রা.) দরবারের সাজ্জাদানশীন ও বংশধর শাহসুফি সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল–মনসুর আল–জিলানী, ভারতের কাছওয়াসা দরবার শরীফের গাজীয়ে মিল্লাত সৈয়দ হাসেমী মিয়া আল–জিলানী ও সৈয়দ নুরানী মিয়া আল–জিলানী, কোলকাতার টিপু সুলতান জামে মসজিদের খতিব শাহসুফি সাখাওয়াত হোসেন বরকতীসহ বরেণ্য স্কলারবৃন্দ অংগ্রহণ করবেন। তাছাড়া দেশের ইসলামিক স্কলারগণ প্রতিদিন বক্তব্য রাখবেন।
মাহফিলে প্রতিদিন পীর, মাশায়েখ, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা ও বরেণ্য আলেমগণ উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২০ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ আছর আহলে বায়তে রাসুলের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বরেণ্য আলেমদের পাশাপাশি প্রতিদিন বিদেশি ইসলামিক স্কলারগণ বক্তব্য রাখবেন। মাহফিলে যোগদান করে আহলে বায়তে রাসুলের মহব্বত অন্তরে ধারণ করে দু’জাহানের কামিয়াবি হাসিল করার আহ্বান জানানো হয়। ড. মোহম্মদ জাফর উল্লাহ এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
পরিষদের প্রচার সম্পাদক দিলশাদ আহমেদ ও জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে অনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল আনোয়ার হোসেন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মওলানা আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও মাহফিলের প্রধান সমন্বয়ক আলী হোসেন সোহাগ, গাউছিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, সহ–সভাপতি খোরশেদুর রহমান, সিরাজুল মোস্তফা, জাফর আহমদ সওদাগর, আবদুল হাই মাসুম, হাফেজ সালামত উল্লাহ, এসএম সফি, মাহবুবুল আলম, মনসুর শিকদার, খোরশেদ আলী চৌধুরী, হাফেজ আহমদুল হক, মাইনুদ্দিন মিঠু, সাহাবুদ্দিন, জহির উদ্দিন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।