ইমরান নাজির।
কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। নেতৃবৃন্দ বিএনপি কার্যালয়ে হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি জানান।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগের শত উস্কানির মুখেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু আওয়ামীলীগ তাদের স্বভাবসুলভ গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধায়। বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিকাল ৫ টার আগে শেষ হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার ও ওয়াসা মোড় থেকে আওয়ামীলীগের একদল সন্ত্রাসী নাসিমন ভবনে এসে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের কলাপসিবল গেইট ভেঙে ভিতরে ডুকে অফিসের জানালার গ্লাস, চেয়ার টেবিল, ভাংচুর করে। বাহিরের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে অগ্নিসংযোগ করে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পার্কিং করা কার ও সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। বিএনপি কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। এর আগে লালখান বাজার আমীন সেন্টারের সামনে পদযাত্রা শেষে বাস যোগে লালখান বাজার হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকেরা বাসে হামলা চালিয়ে বাস ভাংচুর করে এবং নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করে। এখন অনেক নেতাকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা মনে করি, বিএনপির পদযাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার জোয়ার দেখে আওয়ামীলীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা শান্তিপ্রিয় চট্টগ্রামকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।