মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে। স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল কোনো কিছুতেই মশা তাড়ানো সহজ নয়। আবার এসব দিয়ে মশা তাড়ালেও আমাদের স্বাস্থ্য এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। একনজরে জেনে নিন মশা তাড়ানোর কার্যকরি কিছু উপায়-
▶ লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার : লেবু খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেক লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধু লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
▶ নিমের তেলের ব্যবহার : সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেইসঙ্গে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশনজনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
▶ পুদিনার ব্যবহার : ছোট গ্লাসে একটু পানি নিয়ে তাতে ৫ থেকে ৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর পানি বদলে দেবেন। শুধু মশাই নয়, পুদিনার গন্ধ অনেক ধরনের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এ পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।
▶ টবে লেমন গ্রাস লাগান : থাই লেমন গ্রাসে আছে ‘সাইট্রোনেলা অয়েল’ যা থেকে বের হয় এক ধরনের শক্তিশালী সুগন্ধ। এ সুগন্ধ কিন্তু মশাদের যম। মশারা এর কাছেও ঘেঁষে না।
▶ ধুনোর সঙ্গে নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়া : প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়া ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
▶ চা-পাতা পোড়ানো : ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।
▶ নিমপাতা পোড়ানো : কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পোড়ালে যে ধোঁয়া হবে তা মশা তাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকর।