সিমীতভাবে ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম ১৪ এর সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ তম সিনেট অধিবেশনের আলোচনা পর্বে এ দাবি করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক দুঃখজনক খবর আমরা পাই। ছাত্র রাজনীতি সব দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে। সেটি যখন মাত্রাতিরিক্ত হয় তখন শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সীমিত করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে এটা করতে হবে। তারা রাজনীতি করবে। কিন্তু তা ফ্যাকাল্টির বাইরে, ফ্যাকাল্টিগুলো রাজনীতি মুক্ত হতে হবে। ছাত্র রাজনীতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়।’
এ প্রসঙ্গে সিনেট অধিবেশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার কোন কথা বলেননি।
তবে নজরুল ইসলামের এ পরামর্শের বিরোধিতা করেন বিসিএসআইআরের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। এটা থাকা লাগবে। আগে তো শুনতাম কারা ছাত্রদের রগ কেটে দিয়েছে। এখন এমন কিছু হয় না। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটে। এজন্য ছাত্র রাজনীতি বাদ দেওয়া যাবে না।’
এর আগে সকালে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়।
অনুমোদিত বাজেটে বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৩১৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেতন ও ভাতা বাবদ ২৫১ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং পেনশন বাবদ ৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দের পরিমাণ বেড়েছে। এ খাতে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ১০ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ২ কোটি টাকা বেশি। এছাড়া উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা খাতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। এ বছর চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৩ লক্ষ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৯৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩৯৬ কোটি ৫ লাখ টাকা সিনেট সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৯৬ টাকা।