চট্টগ্রাম ১০ আসনের ভোটে ভোট পড়েছে ১১ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার দেখা না গেলেও নারী ভোটার সংখ্যা ছিল দেখার মত।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা চলতে থাকেে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ভোট মনিটরিং করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।
সকালে ভোট শুরুর পর কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে পোস্টার, ফেস্টুনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মিনুয়ারা মম চট্টলার কন্ঠকে বলেন , ভোট দিতে এসে বেশ ভালো লাগছে। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছি। পছন্দের প্রার্থীই জিতবেন বলে আশা সুরাইয়ার।
পাহাড়তলীর সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়েও দেখা গেছে নারী ভোটারদের উপস্থিতি। এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটার আজমা খাতুন বলেন, ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। সবকিছু শান্তভাবেই হচ্ছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান চট্টলার কণ্ঠকে বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এ উপ-নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন— আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।