ওয়াসিম জাফর।
টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে এরই মধ্যে তালিয়ে গেছে নগরীর নিচু এলাকা। বাদ যায়নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনও।
জলাবদ্ধ নগর পিতার বাসভবনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে অনেকেই করছেন নেতিবাচক মন্তব্য।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) আবারও আলোচনায় আসেন চসিক মেয়র যখন দুপুরে থৈ থৈ পানিতে রিকশায় চড়ে তার বাড়ি ফেরার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্বভাব সুলভ হাসিমাখা মুখে রিকশায় বসে আছেন তিনি। একজন প্রহরীসহ আরও দুইজন রিকশাটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। ময়লা পানি এড়াতে রিকশায় চড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাড়ির উঠানে যাওয়ার পর রিকশা থেকে নেমে হাঁটু পানি মাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বাসায় ঢুকতে হয় তাকে।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, “মানুষ সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে অথচ জলাবদ্ধতা নিরশনে সিটি করপোরেশনের কোনো হাতই নেই। আমি বলেছি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য। এ পর্যন্ত কোনো দিন কোনো কাউন্সিলরকে ডাকেনি সিডিএ।”
সূত্র জানায়, প্রায় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালে অনুমোদিত এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের জুনে। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। এরপর আবারও মেয়াদ বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। কাজের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশের বেশি। প্রকল্পের আওতায় খালগুলোর দুই পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধ দেয়ালের মধ্যে ১১৮ কিলোমিটারের বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। ৪৫টি ব্রিজ ও ৬টি কালভার্টের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে। পাঁচটি খালের মুখে জলকপাটের (স্লুইসগেট) নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। তবে খালের পাশে ৮৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে। খাল ও নালার অনেক জায়গা বেদখল হয়ে যাওয়ায় বহুমুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে সিডিএ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন একটি খাল খনন করছে।