ইমরান নাজির।
গত ৪ আগস্ট থেকে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বেড়ে এবং খাল–জলাশয় উপচে চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এমনকি ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরের নিচু এলাকার বাসিন্দাদেরও। যে কারণে গত ৮ আগস্ট শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং উপজেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুইদিন (৯ ও ১০ আগস্ট) বন্ধ রাখে সরকার। তবে গত দুইদিন আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় বন্যা দুর্গত এলাকায় পানি কমতে শুরু করে। তাই কাল রবিবার (১৩ আগস্ট) থেকে চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা চট্রলার কন্ঠকে বলেন, ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই কাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের মতো শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।’
একইপ্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্রলার কণ্ঠকে বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমরা সব জায়গা থেকে খোঁজখবর নিয়েছি এখন কোথাও আর পানি নেই। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় কাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।’