আওলাদ হোসেন, চকরিয়া প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাযাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চকরিয়ার পৌরশহরের বায়তুশ শরফ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাযা শেষে ফেরার পথে পুলিশ ও সরকারি গাড়িতে ভাংচুর চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এক পর্যায়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এই ঘটনার পর পরই ফোরকানুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফোরকান চকরিয়া পৌরসভার আব্দুল বারি পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান চট্টলার কণ্ঠকে জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। কারণ পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়া হয়নি। উত্তেজনার সময় নিজেদের গুলিতে মারা গেছে হয়ত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম চট্রলার কণ্ঠকে জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলা হওয়া স্বত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি বলেন, আমরাও খবর পেয়েছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন ঘটনায় মারা গেছে সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।