রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকা থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি গতকাল সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের টেবিলে উত্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
মন্ত্রী জানান, রাজধানী ঢাকা থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইনের কাজ সম্পন্নের জন্য পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিপত্র গত ১৬ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিল নাগাদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে মূল বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মূল বিনিয়োগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।
২০ হাজার শূন্য পদ : রেলপথ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। সরকারি দলের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের টেবিলে উপস্থাপিত লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রেলওয়েতে গত ৯ মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২ হাজার ৮৮০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জনবল সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই জনবল সংকট নিরসন হবে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তনগর ট্রেনসমূহের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের সুবিধার্থে প্ল্যাটফরমের উচ্চতা বৃদ্ধি করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য স্টেশনগুলোতে হুইল চেয়ার ও র্যাম্প রয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রী যাতে স্টেশন বা ট্রেনে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বড় স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল জেলা স্টেশনসমূহ পর্যায়ক্রমে রিমডেলিং করা হবে। স্টেশনসমূহে ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টার, কোচ সংরক্ষণ ও স্বতন্ত্র টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনের অভ্যন্তরে মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে ও ট্রেনে যাত্রীদের অনবোর্ড সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ হচ্ছে