চট্টগ্রাম নগরীতে ছেলের বাসায় হত্যা করে কেটে ১০ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয় বাঁশখালীর কাথরিয়ার মো. হাসানের মরদেহের খণ্ডিত অংশ। পোস্টমর্টেম শেষে মাথা ছাড়া দেহের ৯ টুকরা অংশ গতকাল সোমবার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে হাসানের শরীরের ৮ টুকরা অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে কোমর থেকে কাঁধ পর্যন্ত অংশ উদ্ধার হয়। এখন পর্যন্ত হাসানের শরীরের ৯ টুকরা পাওয়া গেলেও মাথা পাওয়া যায়নি। তিনি বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে।
গতকাল সকাল ৯টায় কাথরিয়া স্কুলমাঠে নামাজে জানাজা শেষে নিহত হাসানের বড় ভাই মাহবুব আলী, দেলাল আহমদ ও মো. কাসেমসহ স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে ভিটাবাড়ির সম্পত্তির জন্য হাসানের জীবন গেল, সেই বাড়িতেই তাকে দাফন করা হলো, যাতে আর কেউ এই সম্পত্তি ভোগ করতে না পারে। শত শত জনতার উপস্থিতিতে জানাজা হয়। ঘরের ভেতর কবর দিতে চাইলে বাড়িতে থাকা একমাত্র মেয়ে রাজিয়া বেগম প্রথমে রাজি হয়নি। পরে জনতার চাপে বাধ্য হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান চট্রলার কণ্ঠকে জানান, হাসান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী ও বড় ছেলে। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে আটক স্ত্রী ও সন্তান জানান, ২৭ বছর পরিবার থেকে বিছিন্ন ছিলেন হাসান। সম্প্রতি তিনি ফিরে এলেও তারা তাকে বাড়িতে থাকতে দেননি। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত নিহত হাসানের ছোট ছেলে সফিকুর ও তার স্ত্রী আনারকলি এখনো পলাতক রয়েছে