বিশ্ববাজারে যখন জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি তখন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িছে রাশিয়া । বাংলাদেশকে কমমূল্যে জ্বালানি তেল দিতে আগ্রহী তারা।
জানা গেছে, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের নিষেধাজ্ঞায় তেল কেনার গ্রাহক খুঁজছে দেশটি। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট। আগে তেল কেনায় আগ্রহী না হলেও এখন বাংলাদেশ বিষয়টি ভেবে দেখছে। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করতে কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ান কোম্পানির পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব এসেছে। এরমধ্যে একটি প্রস্তাব হলো- তারা চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস পয়েন্টে ডিজেল পৌঁছে দেবে। এর দাম পড়বে প্রতি টন ৪২৫ ডলার। ১৫৯ লিটারে ব্যারেল হিসাব করলে ব্যারেলপ্রতি দাম পড়বে ৫৭ দশমিক ৪৩ ডলার। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে সরকার।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, সরকার চাচ্ছে সংকট সমাধান করতে। আমাদের কমিটি সব পর্যালোচনা করে সরকারকে জানাবে। যেটা ভালো মনে হয়, সেই সিদ্ধান্তই সরকার নেবে। তার পরেই রাশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত আলাপ হবে।
কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়। কীভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা যাবে, তা পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি পারে, বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে কেন পারবে না সেই প্রশ্নও করেছেন সরকার প্রধান।