ইমরান নাজির।
আনুমানিক প্রায় ৬ মাস আগে টিকটকে পরিচয়, সেখান থেকেই মোবাইল নাম্বার আদান-প্রদান, গড়ে ওঠে সখ্যতা, তারপর প্রেম।
গার্মেন্টস কর্মী সখিনা বেগমকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলো নিজেকে এডভোকেট পরিচয় দেওয়া কামরুল হাসান। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ২০২১ সালেও কামরুলকে টাউট হিসেবে ধরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের এরপর কয়েক মাস জেল খাটেন এই প্রতারক কামরুল।
বিয়ে করার কথা বলে সিএনজি অটোরিকশা যোগে ভিকটিমকে ফ্রী-পোর্ট থেকে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডস্থ এশিয়ান এসআর আবাসিক হোটেলে নিয়ে আসে কামরুল।
কিছুক্ষণ বিশ্রামের কথা বলে হোটেলটির ৪০৬নং কক্ষে সখিনাকে নিয়ে প্রবেশ করে সে। তারপর সখিনা বেগমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কামরুল।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে নভেম্বরের ১১ তারিখ শনিবার। ধর্ষণের স্বীকার জনৈকা সখিনা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে বিষয়টি তদন্তভার এসআই সজীব কুমার আচার্যেরীর উপর অর্পন করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ঘটনায় জড়িত আসামি মোঃ কামরুল ইসলাম হৃদয়কে গ্রেফতার করা হলে আসামি মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
চট্রলার কণ্ঠকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনজয় কুমার সিংহ জানান, বন্দর থানাধীন ৩৮নং ওয়ার্ডের কলসী দিঘীর পাড় পকেট গেইট এলাকার আমীন কলোনিতে বসবাস আসামি মোঃ কামরল ইসলাম হৃদয় (৩৫)। তিনি আব্দুর রশিদ মোল্লা ও ফিরোজা আক্তার শানুর সন্তান। কামরুল আগেও বহুবার বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার মামলায় জেল খেটেছে।