ওয়াসিম জাফর
এবারের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা তিনটি। যার মধ্যে একটি চট্টগ্রাম নগরের ও বাকি দুটি খাগড়াছড়িতে। শতভাগ ফেল করা এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। সাত কর্মদিবসের মধ্যে সেই ব্যাখ্যার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সেই তিন কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক।
সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তাঁর কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হওয়ায় কেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা পত্র জারির সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে বোর্ডে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি নগরের বহদ্দারহাটের চান্দগাঁয়ের ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাস করতে পারেনি। অন্যটি খাগড়াছড়ির মহালছড়ির বৌদ্ধ শিশুঘর স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৭ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়। অপরটি মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানেরও ৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তবে একজনও পাস করতে পারেনি।
চট্টলার কন্ঠকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক জানান, ‘যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করতে পারেনি; সেসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে কেন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ১২টি। যেখানে গতবার শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৬টি। আর পাসের হার শূন্য এমন কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না।