নিউজ ডেস্ক
পারিবারিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইদের সাথে হাতাহাতি করে এবার এলাকা ছেড়েছেন বালুয়াকান্দির জুয়েল চেয়ারম্যানের ভাগিনা সন্ত্রাসী কিশোর গ্যং লিডার রুবেল।
অনুসন্ধানে জানা যায় সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে রুবেলের সাথে তার ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে বিরোধ চলছিল।
এর আগে রুবেল প্রধান সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করত, সেনাবাহিনী থেকে অসদাচরণের কারণে চাকরিচ্যুত হয়ে।
তারপর শুরু করেন এলাকায় রাজনীতী। রাজনীতির যেন তার জন্য আলাদিনের চেরাগ হয়ে দাঁড়াল।
চেয়ারম্যান মামার প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান।
মাত্র কয়েক বছর আগেও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ট্যাটাস থেকে বেরিয়ে নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি অবৈধ মাদক ব্যবসা করে রুবেল রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান।
পরকীয়াবাজ ও নারীলোভী হিসেবে এলাকায় পরিচিত রুবেলের ভয়ে এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
এলাকায় কেউ বাড়ি করতে চাইলে তার কাছ থেকে বালু এবং নির্মাণ সামগ্রী কিনতে বাধ্য করা হয়। তার কাছ থেকে মালাবার না কিনলে নগদ টাকা দিয়ে তাকে খুশি রাখতে হয।
ইতোপূর্বে মসজিদের কমিটির ঘোষণা কে কেন্দ্র করে মসজিদের ভিতরেই সাংবাদিককে এবং এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে হামলা করার ঘটনায় মামলা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, রুবেল দাঙ্গাবাজ এবং একাধিক মামলার আসামি হলেও পুলিশ অবৈধ টাকা এবং তার মামার প্রভাবের কারণে বারবার সে পারপেয়ে যাচ্ছে।
তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
ইতিপূর্বে সে অনেক জনকে হামলা করেছে এবং অনেকের ঘরবাড়িতে হামলা লুট করেছে।
তার মধ্যে কোন কোন ঘটনায় মামলা হয়েছে কোন ঘটনায় মামলা আনেনি পুলিশ।
এলাকার এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ক্ষোভের সুরে বলেন আল্লাহর ঘর মসজিদের সে জুম্মার নামাজের দিন নামাজরত অবস্থায় হামলা করলেও তার বিচারও কেউ পায়নি।
অভিযোগ রয়েছে রুবেল এবং তার মামা চেয়ারম্যান হওয়া পর মাদক ব্যবসায় ও নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইতিপূর্বে তার মামা জুয়েল চেয়ারম্যান কে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে মহিলা সহ হাতেনাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং জুয়েল চেয়ারম্যান সে ঘটনার কিছুদিন জেলও খেটেছিল।