বাকলিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল আলম মিয়ার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি তা অস্বীকার করেছে।
বিএনপি বিকেল ৫টায় বাকলিয়ার মিয়াখান নগর বাদামতল এলাকায় কেন্দ্র ঘোষিত ‘জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ সমাবেশ পূর্বনির্ধারিত ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, সমাবেশ চলাকালে কাউন্সিলর নূরুল আলম মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি দাবি করেছে, পূর্বনির্ধারিত মিছিল শুরু হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সিরাজ, নূরউদ্দিন, রনি, জাহাঙ্গীর, জব্বার, আরিফ, ইমনসহ দলীয় ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
তবে কাউন্সিলর নূরুল আলম বলেন, শোকের মাস উপলক্ষে আমাদের মিছিল ছিল। সেই মিছিল নিয়ে বাদামতল এলাকায় পৌঁছালে বিএনপির সভা থেকে পুলিশের সামনেই অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে চারজন আহত হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মী তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে তিনি।
দক্ষিণ বাকলিয়া বিএনপির সভাপতি নবাব খান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। নেতারা বক্তব্য রাখার সময় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন লোক মিছিল করে উপস্থিত হয়ে হামলা করে। এতে আমাদের ১২ জন কর্মী আহত হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল। কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।