ইমরান নাজির।
ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ২৩ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার নগরীর চকবাজার থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রজনতা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে হাসান মাহমুদ জুনায়েদ রাসেলের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন হাফিজুর রহমান হিরো। মানববন্ধনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট যায়েদ বিন রশিদ, ছরওয়ার কামাল, মেহেবুব আলম, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো: আওলাদ হোছাইন, সংগঠক আমজাদ হোসেন, বেপজা কলেজের প্রভাষক মিশকাত কবির আজাদ, গ্লোবাল গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সেলিম ইসলাম খান, ছাত্রনেতা সংগঠক সোয়েব, ছাত্রনেতা রেজাউল করিম, ছাত্রনেতা মোকাররম বারি, ইমাম হোসেন আবির, ছাত্রনেতা মারুফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মিজান, আবু তারেক, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রুবেল প্রমুখ অনুষ্ঠানের অতিথি ছরওয়ার কামাল বলেন, বর্তমানের বাংলাদেশ কোন স্বৈরাচারীর দেশ নয় বর্তমানের বাংলাদেশ শহীদ আবরারের বাংলাদেশ। আবু সাঈদ, ওয়াসিম আকরামসহ সকল শহীদের এই আত্ম ত্যাগের মধ্য দিয়ে ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাবে।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না, বাংলাদেশের অকল্যাণকর কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ছাত্র জনতা কোনদিন মেনে নেয়নি আর ভবিষ্যতেও মেনে নিবেনা। আমাদের ১২ দফা দাবি মেনে নিয়ে সরকার ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করবেন।
ছাত্রজনতার ১২ দফা দাবী হলো:-
১। ভারতের সাথে সম্পৃক্ত সকল নদীতে নতুন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ২। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভারতীয় রেল চুক্তি বাতিল করতে হবে, ৩। খুনি হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী গোপন সকল চুক্তি জনসম্মুখে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরতে হবে। জনকল্যাণ বিমুখী চুক্তির জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ৪। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করতে হবে। ৫। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন স্কুল ও জল বন্দর বিনা শুল্কে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ৭। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বর্জন করতে হবে, সহাবস্থান ও পরস্পর সহযোগি হয়ে সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৮। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ৯। বন্যা দুর্গত ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী সহ সারাদেশে সরকারের সর্বাত্যক সহযোগীতা কামনা করছি। ১০। ভারত নির্ভর সকল পণ্য সামগ্রীর বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ১১। ভারতীয় সকল নাগরিকের বাংলাদেশে চাকুরী চুক্তি বাতিল করতে হবে তবে
ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। ১২। সীমান্ত হত্যা ও চোরাকারবারি বন্ধ করতে হবে।