পলাতক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. অনুপম সেনসহ ১১৯ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন মোহাম্মদ ফরহাদ নামে এক যুবক।
মোহাম্মদ ফরহাদ সন্দ্বীপ উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৌলভীবাজার এলাকার মো. হেলালের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন—চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অবৈধ অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থলে ত্রাস চালায়। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে আসামিরা ওইদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি, হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রাণ বাঁচানোর জন্য তিনি বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের দিকে দৌঁড়ালে আসামিদের অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার বিষয়টি চট্টগ্রামের কন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আরফান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মামলার আবেদনে ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলার আবেদনটি তদন্তপূর্বক চান্দগাঁও থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’