নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্বে ফিরছে চসিক!
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো থেকে শুরু করে সংবিধি, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, বাজেটসহ সবকিছুই অনুমোদন দেয় এ পর্ষদ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ তার পরিবারের তিন সদস্য চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তি। যদিও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর উদ্যোগে চসিক মেয়র থাকাকালীন প্রায় ২৪ বছর আগে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। রাজনৈতিক প্রভাবে চসিকের টাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় একসময়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ মহিউদ্দিন পরিবারের বিরুদ্ধে। সরকার পতনের একমাস পর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে ফের আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। আর আট বছর পর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিতে পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
চসিক সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির নেতৃত্বে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালনার অনুমতি চেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি পাঠায় চসিক প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
চসিকের পাঠানো সেই চিঠির একটি অংশে উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে বর্তমানে একটি জনকল্যাণমূলক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপটে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য করপোরেশনে লিখিত আবেদন করেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নিজেদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও অর্থায়নের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে আনার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছে। এমতাবস্থায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি প্রদান সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০০১ সালের ৫ ডিসেম্বরের স্মারকপত্র ও ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বরের রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাস্ট্র দলিল মোতাবেক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে গঠিত ট্রাস্ট্রি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমতি প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে, চসিকের নেতৃত্বে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান ছিলেন চসিক মেয়র। সদস্য হিসেবে বাকিদের মধ্যে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী, সচিব, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তাসহ মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সংক্রান্ত আইনটির ৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে অনধিক ২১ কিন্তু অন্যূন ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে।’ যদিও চসিকের গঠিত ট্রাস্ট্রি বোর্ডের বাকি সদস্য কারা ছিলেন তা জানা যায়নি।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রামের কন্ঠকে বলেন, ‘এটা আমাদেরই ছিল। এমন না যে মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু জোরপূবর্ক অন্য একটি পক্ষ এতোদিন দখল করে রেখেছে। এখন পরিচালনায় আমরা (চসিক) থাকবো এবং তার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইলে ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের কথা ভাবছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘না আমরা এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়েছি যে, এটা বেদখল হয়ে গেছে আমরা এটা ফেরত চাই। মন্ত্রণালয় বলে দিবে পরবর্তীতে আমরা কী করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা সিটি কর্পোরেশন। এই সম্পত্তি আমরা কিনেছি। আমাদের পক্ষে চুক্তি আছে। দাতা কিন্তু সিটি কর্পোরেশন। ট্রাস্টি বোর্ডও আমাদেরই ছিল। চেয়ারম্যান বরাবরই মেয়র ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ পর তা পরিবর্তন হয়ে যায়। যারা আগে বোর্ডে ছিলেন তারাই থাকবেন। এ জন্যই আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়েছি।’
যেভাবে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ হারায় চসিক
২০০১ সালের ৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও অনুমতি চেয়ে আবেদন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। পরবর্তীতে ২০০২ সালের ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পায় সংস্থাটি। সেসময় মেয়র ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে পদাধিকার বলে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর তিনি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি নেতা এম মনজুর আলমের কাছে পরাজয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ হারান মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু সেসময় মেয়র মনজুর আলম চসিকের সাধারণ সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টির সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সম্বোধন করে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাটতি পদগুলো পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয়। এরপরই মূলত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় চসিকের। কারণ নাছিরের সঙ্গে মহিউদ্দিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ ছিল পুরনো।
পরে ইউজিসির পাঠানো চিঠিটি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া হলো না, এই যুক্তি তুলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন দায়ের করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। আদালত রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে মহিউদ্দিনের অংশগ্রহণে কোনো ধরনের বাধা না দেয়ার নির্দেশনা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা হিসেবে মহিউদ্দিন কেন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে পারবেন না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন উচ্চ আদালত।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১২ জুন দেওয়ানী আদালতে প্রতিকার চাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পিটিশন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। তবে ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশ, ১৯৮২ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর কোনোটিতেই সিটি করপোরেশনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই মামলা চলাকালে চসিককে দেওয়া সেই চিঠিটি বাতিল করে ইউজিসি।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। ২০১৭ সালের মে মাসে রিভিউ পিটিশনের রায়ে উচ্চ আদালত উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ কোনো পক্ষের ওপর প্রয়োজ্য হবে না। এ রুলের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবার লিভ টু আপিল পিটিশন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু এর শুনানিতে তিনি হাজির না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিলটি খারিজ করে দেন আদালত। উচ্চ আদালতের মামলটি খারিজ হওয়ার পর দেওয়ানী আদালতে কোনো মামলা করেননি মহিউদ্দিন চৌধুরী। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় চসিকের সব ধরনের বাধা কেটে যায়। কিন্তু সেসময় চসিক মেয়রকে ট্রাস্টির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মহিউদ্দিনপুত্র নওফেল। এরপরই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পছন্দমতো ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালে শিক্ষামন্ত্রী হওয়ায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ আঁকড়ে রাখেন নওফেল।
হদিস নেই ট্রাস্টি বোর্ডের
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ১২ সদস্যের মধ্যে তিনজনই মহিউদ্দিন পরিবারের। বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল, আর তার মা হাসিনা মহিউদ্দিন ও ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সদস্য হিসেবে আছেন। এর বাইরে এস আলম গ্রুপের তিন সদস্য সাইফুল আলম মাসুদ, আবদুস সামাদ লাবু, মোহাম্মদ শহীদুল আলমও আছেন ট্রাস্টি বোর্ডে। বাকি ৬ সদস্যরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক অনুপম সেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, রেমন্ড আরেং, প্রকৌশলী শহীদুল আলম ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিহা মূসা। সরকার পতনের পর থেকে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন ছাড়া আর কোনো সদস্যেরই হদিস নেই। যে যার মতো সবাই রয়েছেন আত্মগোপনে। যদিও নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসছেন না উপাচার্য ড. অনুপম সেন। এরই মধ্যে কয়েকদফা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করেছে, অন্যদিকে আরেকটি অংশ তাকে উপাচার্য পদে বহাল রাখার দাবিতেও আন্দোলন করছে।
এদিকে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রায় সকল সদস্য আত্মগোপনে চলে যাওয়ার এমন ঘটনা অতীত ইতিহাসে দেশে কখনো ঘটেনি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ট্রাস্ট্রি বোর্ড তাই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান কিংবা সদস্যরা না থাকলে কীভাবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দায়িত্ব পালন হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যাবলী, প্রশাসনিক কার্যাবলী ও সাধারণ ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পর্ষদ। এ কারণে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের অনুপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় খুব একটা বাধার মুখে পড়তে হবে না প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়কে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর নিয়ম অনুসারে তো একটা ট্রাস্টি বোর্ড ছিলই। সেভাবেই চলেছিল সব। কিন্তু ২০১৬ সালের পরে একপক্ষ অন্যপক্ষকে বিতাড়িত করে দখল করে নেয়। এখন সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে কর্পোরেশনকে তার কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাহলে এই ট্রাস্ট্রি বোর্ড নিয়ে তো মাথা ঘামানোর প্রশ্নই আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এইতো কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজকে (বিওটি) অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। তাদের আগের বোর্ড ভেঙে দিয়ে ১২ সদস্যের নতুন বোর্ড পুনর্গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন এই বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সরকারের ওপর। তারা যদি মনে করে এই বোর্ড আর থাকবে না তাহলে আদালত তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠনের আদেশ দিবেন। আর ট্রাস্ট্রি বোর্ড সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কোনো প্রভাব পড়বে না।’
একই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব প্রবীর চন্দ্র দাস সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন করে বোর্ড পুর্নগঠন করা হয়েছে। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে লিখিত কিছু আসে নাই। যদি আসে তাহলে আমরা মিনিস্ট্রিকে জানাবো তখন মিনিস্ট্রিই সেখানে হস্তক্ষেপ করবে।’
একই বিষয়ে জানতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতেখার মনির ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।