অক্টোবর ৩, ২০২৪ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের প্রলম্বিত উপস্থিতি দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। এসব বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকের প্রলম্বিত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
প্রধানমন্ত্রী নগরীর র‌্যাডিসন ব্লু- হোটেলে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস)-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। খবর বাসস।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছে। ২৭টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে। শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি সহায়তা কার্যক্রমে মহান অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। তিনি বাংলাদেশে এই সেমিনারে যোগদানের জন্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের ফোরামের মাধ্যমে সিনিয়র সামরিক নেতাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে, যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে।
বিশ্ব শান্তি বজায় রাখায় তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এটা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা যে বাংলাদেশ সর্বদা বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। জাতিসংঘের অধীনে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা এটি বজায় রাখতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে এবং বিশ্বের যে কোনো স্থানে দেশ ও বিশ্ব শান্তির জন্য সর্বদা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা গতিশীলতা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং দিন দিন জটিল হচ্ছে।
যেকোনো সংঘাত বা সংকট বিশ্বের প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করে, তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুপাক্ষিকতাবাদে দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার প্রথম ভাষণে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সারমর্ম উচ্চারণ করেছিলেন: সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়। তিনি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্বনেতাদের সৎ ও শান্তিপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার জন্য আহবান জানান।
আমরা সর্বদা আমাদের বৈদেশিক নীতি থেকে শক্তি নিয়ে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি, উল্লেখ তিনি বলেন, এটি আমাদের একটি জাতি হিসাবে বেড়ে উঠতে দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে আমাদের সম্প্রদায়ে আমাদের সঠিক অবস্থান দাবি করার ক্ষমতা দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল জনাব এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক