আদালত প্রতিবেদক।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের চারদিকেই ছিল কড়া নিরাপত্তা, ছিল পুলিশি পাহারাও। কারণ রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম ওরফে জুইন্নাকে আদালতে হাজির করা হবে—ছিল এমন খবর। কিন্তু বাধা অতিক্রম করেই আদালত ভবনে ঢুকে পড়েন ১৫ থেকে ২০ জন যুবক। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা মারতে তেড়ে যান সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাদের। ফজলে করিম ও তার সন্তান ফারাজ করিমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল রাউজানের হাজারো জনগণ,স্বরাজ ও ফজলে করিমের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে কেউ হারিয়েছেন ভিটেবাড়ি কেউ হারিয়েছেন পৈতৃক ব্যবসা, তাদের কথার অবাধ্য হলেই চলতো মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।
এ অত্যাচার যে শুধু বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের উপর চালিয়েছেন তা নয় আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থক এর উপরেও নির্যাতন চালিয়েছে ফারাজ ও ফজলে করিম।
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের আংশিক চিত্র দেখা যায় গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিন রাউজানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত। এর আগে, চট্টগ্রাম নগর ও জেলা মিলিয়ে মোট পাঁচ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ফজলে করিমকে হাজির করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে আদালত চত্বরের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়। মোতায়ন করা হয় বিপুল পুলিশ। সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট ভবনে আনা হয় ফজলে করিমকে। ভবনের নিচ থেকে সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানে হট্টগোল শুরু করেন কয়েকজন যুবক। তাদের কারো কারো হাতে ছিল ‘ফজলে করিমের ফাঁসি চাই’ লেখা ব্যানার-পোস্টারও।