এক সপ্তাহে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রায় ১২ হাজার কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টায় জারা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ভারতের কৈলাশহরের ব্যবসায়ী আব্দুল মুহিত প্রতি কেজি ৮ ডলার মূল্যে বাংলাদেশি ১৫ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ টাকায় ২ হাজার কেজি বাংলাদেশি ইলিশ রপ্তানি করেছেন। পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মুহিত আরও ২ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেন।
অন্যদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের কৈলাশহরের মনিকা এন্টারপ্রাইজের কাছে ২ হাজার ৯৫০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় আবার বিডিএস কর্পোরেশন ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরের মনিকা ইন্টারপ্রাইজের কাছে আরও ৪ হাজার ৭২৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছে। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে মোট ১১ হাজার ৬৭৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়। সব মিলে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে গেল ১১ হাজার ৭২৫ কেজি ইলিশ মাছ গেছে।
জারা এন্টারপ্রাইজের পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে ১১ হাজার ৬৭৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ পথে আরও ইলিশ মাছ রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক বাবলু সিনহা বলেন, এক সপ্তাহে ১১ হাজার কেজির অধিক ইলিশ রপ্তানি রয়েছে। এই স্টেশন দিয়ে ইলিশ রপ্তানির নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে।