ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

ফারুকী কিভাবে উপদেষ্টা হয় জানতে চাই হেফাজত

হেফাজত ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে তেঁতুল হুজুর বলে ব্যঙ্গ করা নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে কোন যুক্তিতে উপদেষ্টা বানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশবাসীর হয়ে প্রশ্ন রেখেছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। আলেম-ওলামারাসহ সম্মিলিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে উল্লেখ করে ফ্যাসিবাদকে পুর্নবাসনের চেষ্টা করলে আপামর জনতা তাদেরও ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেন হেফাজত নেতারা।

আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক এক বিবৃতিতে এসব বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি শাহবাগী নাস্তিক্যবাদীদের দোসর। দেশের আধ্যাত্মিক রাহবার, হেফাজত আমীর শায়খূল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. কে তেঁতুল হুজুর বলে ব্যঙ্গ করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। যা ক্ষমা করা যায় না। তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তারা আরো বলে, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই জালেম শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত হয়। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীসহ একাধিক উপদেষ্টা সেই পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা উপায়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন, সমর্থন যুগিয়েছেন। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ট সাবেক তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধিক নেতার ঘনিষ্ট ছিলেন ফারুকী। এছাড়াও তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর সেই শাসনের প্রতীক সংস্কারের পক্ষে আওয়াজ তুলে এক প্রকার ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন। যা দেশবাসীর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। জুলাই বিপ্লবে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় এদেশের ছাত্র জনতাসহ আলেম ওলামারা সম্মিলিতভাবে বসিয়েছে।

তারা আরো বলেন, দুঃখের বিষয়, হলো এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনও হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে, এদেশের আপামর তৌহিদী জনতা আপনাদেরকেও ক্ষমা করবেনা।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে কি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের অভাব পরেছে? ফারুকীর মতো একজন নাট্যকারকে কোন যুক্তিতে উপদেষ্টায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা দেশবাসী জানতে চায়? আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, জাতীয় মুনাফিক, গাদ্দার, নাস্তিক, মুরতাদ ও শাহবাগীদের অনুসারী, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, ফ্যাসিস্টের দোসর কাউকে আমরা উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই না। শহিদ ভাইদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কখনোই তা মেনে নেওয়া হবে না।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক