চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাটে জুট করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্থানীয়দের রোষানলে পড়েছেন তিন ব্যক্তি। জুট করপোরেশনের একটি খালি জায়গা ঘিরে চাঁদা দাবির অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী তাদের আটকে রাখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাজ্জাদ, শাওন ও সোহেল নামে তিন ব্যক্তির সম্পূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তারা ‘মুখচেনা’ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে বলছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সদরঘাট জুট করপোরেশনের স্থানীয় অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
সাজ্জাদ, শাওন ও সোহেল নামে ওই তিন ব্যক্তির পুরো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তারা ‘মুখচেনা’ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জুট করপোরেশনের খালি জায়গাটি সাকিব নামে এক ব্যবসায়ীর নামে লিজ নেওয়া ছিল। জায়গাটি তিনি জাকির নামে আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল কিছু ব্যক্তি। গত জুন মাসে লিজের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় লিজ না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গাটি মৌখিকভাবে দেখভালের নির্দেশনা দেন করপোরেশন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার জুট করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে এ নিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে ‘চাঁদাদাবি’ করলে আরেকটি পক্ষ তাদের অফিসের বাইরে ঘেরাও করে ‘আটক’ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারায় ঘটনা প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কর্মকর্তা হাসান মুরাদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমিজ আহমদকেও রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফোনে পাওয়া যায়নি।
পরে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, ‘জুট করপোরেশনের জায়গা লিজ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।’