নিজেকে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতা পরিচয় দিতেন মোহাম্মদ সুমন (৩২)। খুন, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, পাহাড় কাটা—এমন ৩৪ মামলার আসামি তিনি। শুধু তাই নয়, দুটি মামলায় এক বছর এবং ছয় মাসের পৃথক সাজাও খেটেছেন তিনি।
পুরোদস্তুর এই ‘আওয়ামী নেতা’ সরকার পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পুড়িয়ে ভোল পাল্টান। আবার জামায়াত ইসলামীর সদস্য হতে ফরমও পূরণ করেন। সবশেষ ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী কোতোয়ালী থানার এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমন নগরের দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনি এলাকার মৃত মুজিবুল হকের ছেলে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে সুমন ছিলেন পুরোদস্তর আওয়ামী লীগপন্থি। কিন্তু সরকার পতন হতে না হতেই ভোল পাল্টান। বনে যান জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। সম্প্রতি জামায়াতের প্রাথমিক সদস্য হওয়ার ফরমও পূরণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাবেক এই নেতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমনের নামে খুনের মামলা রয়েছে দুটি। যার একটি দায়ের হয় নগরের ডবলমুরিং থানায় এবং অন্যটি চট্টগ্রাম আদালতে। এছাড়া, আদালত এবং কোতোয়ালী থানার দুটি রাজনৈতিক মামলার আসামি তিনি। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধ বিভিন্ন আদালত এবং হাটহাজারী থানায় দায়ের হওয়া ৩০টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। দুটি মামলায় তার এক বছর এবং ৬ মাসের পৃথক সাজাও হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘আটক মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাবেক নেতা সুমনকে কোতোয়ালী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’