রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রয়োজনে মহাসমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি ময়দানে তারুণ্যের গণসমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ভিপি নুর বলেন, ‘দুই-একটি রাজনৈতিক দল চায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে, আর আমরা কি আঙুল চুষবো! আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নাম যারা মুখে নিবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আমরা প্রয়োজনে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবো। আপনাদেরকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমরা ৫৩ বছর দেখেছি। কাজেই আর দুই-এক বছর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেখতে চাই। তারা কী কী করে। আমাদের বিশ্বাস, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে আন্তর্জাতিক পরিচিতি, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টেনে তুলতে পারবেন। তিনি ছয়টি সংস্কার কমিশন করে দিয়েছেন। নির্বাচন, গণমাধ্যম, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনের সংস্কার গণআন্দোলনের গণআকাঙ্ক্ষা। এ সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্য সরকারকে ক্ষমতায় থাকার প্রশ্নে আমরা ব্ল্যাংক চেক দেবো না। আপনারা ভালো কাজ করবেন, আমাদের সমর্থন পাবেন। জনবিরোধী কমকাণ্ড করলে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, এক সেকেন্ডও সময় দেবো না।’
নুর বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রী হতে পারবো কিনা সেটা তো আমরা জানি না। আর আমরা এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজিও করার জন্য রাজপথে নামি নাই, সংগ্রাম করি নাই। জনগণের প্রত্যাশা, নতুন বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্যই গণঅধিকার পরিষদসহ ছাত্র-জনতা কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে যারা অবস্থান নিবেন, আমরা বলতে চাই তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। বলতে পারি, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকানোর জন্য আবার যদি কোনো বিপ্লবের ডাক দিতে হয়, এই চট্টগ্রামের মাটি থেকেই যেন তা শুরু হয়।’
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।