ওবায়দুল্লাহ সিরু।
চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির আন্দোলনে সহকর্মী নিহতের প্রতিবাদে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি। আগামীকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) সব আদালতে এ কর্মসূচির পালনের ঘোষণা দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘কোর্ট বিল্ডিং থেকে যাওয়ার পথে ওরা যে যেদিকে পেরেছে হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে, মসজিদের গ্লাস ভাঙচুর করেছে। এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আমাদের একজন আইনজীবী যিনি মারা গেছেন সাইফুল ইসলাম আলিফ, তাকে ধরে মেতর পট্টিতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়েছে ইস্কনের সন্ত্রাসীরা। এটার জন্য আমরা সমিতির পক্ষ থেকে জরুরি মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মহানগর দায়রা জজ, জেলা দায়রা জজ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সকল আদালতের কার্যক্রম আমরা সাসপেন্ড ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাডভোকেট রিগ্যান এবং শুভাশিষ শর্মা আওয়ামী লীগের লোক। আওয়ামী লীগের লোকরাই ইস্কনের নাম ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে। অ্যাডভোকেটদের মধ্যে আওয়ামী লীগের লোকরা ছিল কোর্ট বিল্ডিংয়ে। আমরা হিন্দু-মুসলিম বুঝি না। দলীয় অ্যাডভোকেটরা যদি তাণ্ডব করতে নিষেধ করতো তাহলে আজ এসব হতো না। আর নিহত ছোট ভাই এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা আগামীকাল সকালে অনুষ্ঠিত হবে।’
এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। নিহত আইনজীবীর পরিবারের সদস্যদের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। পরিবারের সদস্যরা হয়তো লোহাগাড়া থেকে আসবে। তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা এই হত্যাকাণ্ডে ছিল তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব। ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে নিহত আইনজীবী সাইফুল সবার সামনে ছিল। বুক আগলে দিয়েছে।’
নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫)। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জালাল উদ্দীনের ছেলে। চট্টগ্রাম আদালতে সহকারী পিপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।