ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার হতে ৬৫৩ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল জাহাজ

রহিম উল্লাহ উপল।

চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজটি। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য ৩টি জাহাজ অনুমোদন পেলেও যাত্রী না পাওয়ায় অন্য দুটি জাহাজ বন্ধ রয়েছে।

nagad
nagad

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকেদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রথমদিনে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। তবে যাত্রী না পাওয়ায় অন্য দুটি জাহাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।’

সেন্ট মার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আমরা সকাল থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত আমরা তদারকিতে ছিলাম।’

KSRM
KSRM

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

১৯ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি।

পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সাম্প্রতিক